News Portal Logo
Today

বিতর্ক, বিভ্রান্তি ও উগ্র বয়ানের ছায়া: আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর গ্রেফতার ঘিরে অদৃশ্য নেটওয়ার্কের অনুসন্ধান

মহিবুল্লাহ হত্যা থেকে ইসকনকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো—সামাজিক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় কেন নজরদারিতে বিক্রমপুরী?

বাংলাদেশ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৩
News
Logo Stv24 Exclusive
Share on: Facebook PDF Copy Print More

সাম্প্রতিক সময়ে মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর গ্রেফতারকে ঘিরে প্রশ্ন শুধু ‘কখন’ বা ‘কোথা থেকে’ নয়—বরং ‘কেন এখন’। নরসিংদী থেকে গ্রেফতারের পর তাকে ডিটেনশন আইনে কারাগারে পাঠানো হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও প্রকাশ করেনি নির্দিষ্ট অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ। তবে অনুসন্ধানে উঠে আসছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অনলাইন ও অফলাইন তৎপরতার ধারাবাহিকতায় নেওয়া একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ। গ্রেফতার: দৃশ্যমান ঘটনা, অদৃশ্য পটভূমি গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুরোধে বিক্রমপুরীকে গ্রেফতার করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিটেনশন আদেশ কার্যকর করা হয়। কিন্তু এই প্রশাসনিক ভাষ্যের আড়ালে যে প্রশ্নটি জোরালো হচ্ছে—তার কর্মকাণ্ড কি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি হয়ে উঠেছিল?

মহিবুল্লাহ কান্ড ও ‘ইসকন বয়ান’: বিভ্রান্তির সূচনা

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিক্রমপুরীর নাম প্রথম বড় পরিসরে বিতর্কে আসে মহিবুল্লাহ নিখোঁজ ও ইসকন ইস্যুতে। ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সুসংগঠিত প্রচারণা শুরু হয়, যেখানে ইসকনকে (ISKCON) কে এ ঘটনার সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এই প্রচারণার বৈশিষ্ট্য ছিল— আবেগী ভাষা ও ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার যাচাইহীন তথ্যকে ‘নিশ্চিত সত্য’ হিসেবে উপস্থাপন, সংখ্যালঘু একটি ধর্মীয় সংগঠনকে কেন্দ্র করে সন্দেহ ও ঘৃণা তৈরি পুলিশের তদন্তে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, মহিবুল্লাহ নিখোঁজের সঙ্গে ইসকনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবুও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট থামেনি।


বিক্রমপুরীর ভূমিকা: সরাসরি অপরাধ নয়, কিন্তু বয়ানের রাজনীতি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিক্রমপুরীর বিরুদ্ধে মহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি যে বয়ানকে শক্তিশালী করেছেন, সেটিই ছিল মূল সমস্যা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে— তিনি ও তার ঘনিষ্ঠ অনলাইন নেটওয়ার্ক বারবার সংবেদনশীল ঘটনায় একপাক্ষিক ব্যাখ্যা হাজির করেছেন সেই ব্যাখ্যাগুলো অনেক ক্ষেত্রে সরকারি তদন্তের ফলাফলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ফলাফল হিসেবে তৈরি হয়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সামাজিক বিভাজন একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের ভাষায়, “আজকের উগ্রবাদ শুধু বোমা বা অস্ত্র দিয়ে আসে না। এটি আসে লাইভ ভিডিও, পোস্ট আর আবেগী ভাষার মাধ্যমে।”


একই প্যাটার্ন, একাধিক ঘটনা মহিবুল্লাহ ইস্যু, খতিব ‘অপহরণ’ নাটক এবং সাম্প্রতিক গ্রেফতারের আগে বিক্রমপুরীর অনলাইন ভূমিকা—সবকিছু মিলিয়ে একটি স্পষ্ট প্যাটার্ন চিহ্নিত করছেন সংশ্লিষ্টরা: সংবেদনশীল ঘটনা নির্বাচন দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ও মন্তব্য ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক রঙ যোগ রাষ্ট্র ও প্রচলিত তদন্ত ব্যবস্থার ওপর অবিশ্বাস তৈরি

সকল সংবাদ

আর্থিক ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

শনিবার দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

নতুন ভিডিও অ্যাপ আনলো ওপেনএআই

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বার্সেলোনার জালে চার গোল দিল সেভিয়া

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

রাকসু নির্বাচন পেছাল

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ