News Portal Logo
Today

সংখ্যালঘুদের সংসদীয় অধিকার: আন্তর্জাতিক মানে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে পাকিস্তান।

বাংলাদেশ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭
News
Logo Stv24 Exclusive
Share on: Facebook PDF Copy Print More

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব আজ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন নীতিমালায় আইনসভায় সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবস্থান আন্তর্জাতিক তুলনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আন্তর্জাতিক চর্চা কী বলে? বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশে সংখ্যালঘুদের সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত আসন, বিশেষ কোটা অথবা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation) ব্যবস্থা চালু রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে আদিবাসী মাওরি জনগোষ্ঠীর জন্য সংসদে আলাদা আসন সংরক্ষিত ভারতে তফসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংবিধানিকভাবে লোকসভা ও রাজ্যসভায় আসন সংরক্ষিত নেপালে দলভিত্তিক কোটার মাধ্যমে সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষিত এই দেশগুলোতে প্রতিনিধিত্ব কোনো রাজনৈতিক দয়ার বিষয় নয়, বরং সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। বাংলাদেশ: আন্তর্জাতিক মান থেকে কতটা দূরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বর্তমানে ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো সংরক্ষিত আসন নেই। যদিও সাধারণ আসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন, তবে তা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও নির্বাচনী বাস্তবতার ওপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ এতে প্রতিনিধিত্ব স্থায়ী বা কাঠামোগত নয়, বরং সময় ও সরকারভেদে পরিবর্তনশীল। পাকিস্তান: আন্তর্জাতিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি আসন সংরক্ষিত, যা সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। একইসঙ্গে প্রাদেশিক পরিষদগুলোতেও সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদিও পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সামাজিক বাস্তবতা নানা চ্যালেঞ্জে ঘেরা, তবুও সংসদীয় কাঠামোয় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশটি দক্ষিণ এশিয়ায় তুলনামূলকভাবে এগিয়ে। গণতন্ত্রের মানদণ্ডে প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আন্তর্জাতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে— বাংলাদেশ কি কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্বেই সন্তুষ্ট থাকবে, নাকি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথে এগোবে? আন্তর্জাতিক তুলনায় দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্বে বাংলাদেশ এখনো নীতিগত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়, যেখানে পাকিস্তানসহ বহু দেশ সাংবিধানিক কাঠামো গড়ে তুলেছে। ফলে বিষয়টি এখন আর শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দাবি নয়—এটি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন।


সকল সংবাদ

আর্থিক ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

শনিবার দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

নতুন ভিডিও অ্যাপ আনলো ওপেনএআই

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বার্সেলোনার জালে চার গোল দিল সেভিয়া

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

রাকসু নির্বাচন পেছাল

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ