News Portal Logo
Today

কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না: মির্জা ফখরুল

এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

রাজনীতি ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন
১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৫
News
Logo Stv24 Exclusive
Share on: Facebook PDF Copy Print More

দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেছেন, যতই আইন বা সংস্কার করা হোক, কিছু সংখ্যক বুদ্ধিজীবী বা শক্তিশালী ব্যক্তিরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলে তা দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট-এ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়। এতে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা অংশ নেন। ফখরুল বলেন, “যতই আমরা বিভিন্ন সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ হলো নির্বাচন, এবং এই ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী ও স্বাধীনতাকামী। এই মানুষ বার বার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত সেই লড়াইয়ে মানুষ বার বার হোঁচট খেয়েছে। তবে যতবার হোঁচট খেয়েছে, ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।” ফখরুল এক কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “দানব হাসিনা দেশের সবকিছুকে তছনছ করে দিয়েছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা—সব ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি দেশের মৌলিক কাঠামোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন।” তিনি এও উল্লেখ করেন, “কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে এসেছে। আমরা মানুষের আশা ও স্বপ্নের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো সময়ে আন্দোলন চালাতে প্রস্তুত।” বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন আলোড়ন তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফখরুলের বক্তব্য নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে এবং এটি রাজনৈতিক আলোচনায় ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছে।

আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া ছাত্র নেতারা বলেন, “ফখরুলের ভাষণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে গণতন্ত্র শুধুমাত্র আইন বানিয়ে নয়, জনগণের অংশগ্রহণ ও নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আমাদের যুব সমাজকে আরও সচেতন ও সংগঠিত করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় বিএনপির এ ধরনের স্পষ্ট অবস্থান রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষায় কার্যকর বার্তা হিসেবে কাজ করবে। ফখরুলের এই বক্তব্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যুব নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সংস্কারকে কেন্দ্র করে একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার পথ খুলে দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


সকল সংবাদ

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

শনিবার দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

নতুন ভিডিও অ্যাপ আনলো ওপেনএআই

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বার্সেলোনার জালে চার গোল দিল সেভিয়া

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

রাকসু নির্বাচন পেছাল

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ